বন্দে মাতরম থেকে খেলা হবে - স্লোগানের একাল সেকাল
এজেন্ডা যাই হোক , তা পৌঁছে দিতে হবে মানুষের কাছে। ' মানুষই ইতিহাস গড়ে ', ' আমাদের সাথে মানুষ আছে ' , ' মানুষের জন্য কিছু করতে চাই ' ---- ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ বারবার ফিরে ফিরে আসে। বক্তৃতা, দেওয়াল চিত্র , গণ সংগীতের মতো স্লোগান ও একটি শক্তিশালী পন্থা।
এ বছর রাজ্যে সবথেকে জনপ্রিয় শব্দগুচ্ছ ' খেলা হবে '। এই স্লোগান এর ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা যায় , বাংলার সংসদ শামীম ওসমান বছর পাচেঁক আগে তাঁর বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেছিলেন ' খেলা হবে ' কথাটি।
দেশের আর একটি স্লোগান ' বন্দে মাতরম '। বঙ্কিমচন্দ্রের ' আনন্দমঠ ' উপন্যাসে ব্যবহৃত গানটি ১৮৯৬ সালের কংগ্রেস অধিবেশনে গাওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই গানের দুই শব্দ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে।
আরো একটি জনপ্রিয় স্লোগান ' জয় হিন্দ'। গয়ালিওর শহরের অধিবাসী রামচন্দ্র করকরে পরবর্তীকালে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে ছিলেন। তাঁর লেখায় আজাদ হিন্দ বাহিনীর মেজর আবিদ হাসান সাফরানি ' জয় হিন্দুস্তান কি ' স্লোগানটি ছোট করে ' জয় হিন্দ ' চালু করেন।
এইরকমই এক বিখ্যাত উর্দু কবি হাসরাত মহানি র একটি সাড়া জাগানো স্লোগান লিখেছিলেন ' ইনকিলাব জিন্দাবাদ '।
২০১৪ র ১৩ ই সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর এক ছাত্রীর শ্লীলতহানি কে কেন্দ্র করে তীব্র ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময়ে যে স্লোগান ব্যবহার করা হয়ে ছিল তা হলো ' হোক কলরব '।
শায়ান চৌধুরী অর্ণব এর একটি গানের প্রথম দুটি শব্দ নিয়ে তৈরী এই স্লোগান।
কেরলের কোঝিকোড়ে প্রেমিক প্রেমিকার প্রেমে গেরুয়া হানার প্রতিবাদে যাদবপুর থানার সামনে ' হোক চুম্বন ' স্লোগান উঠলো। বলা হলো ' আমার শরীর আমার মন , দূর হোক রাজ্ শাসন '।
Comments
Post a Comment