গুজরাটি কবি পারুল কক্করের কবিতা - যা  শব বাহিনী  গঙ্গা ও উপচিয়ে পড়া শশানের ছবি দেখিয়ে , দেশের প্রধানের দিকে আঙ্গুল তুলেছিল।  ফলস্বরূপ - লেখিকা কে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলের স্বীকার হতে হয়।  গুজরাট সাহিত্য academy বলেন  - এই কবিতা উদারবাদী ও " লিটারাল " নকশালদের অরাজকতা তৈরির চেষ্টা , কেন্দ্রের মতাদর্শের পিছনে মানুষকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা।  

খেয়াল করলে দেখা যাবে - এই অভিযোগ তুলেছে এমন এক প্রতিষ্ঠান যার কাজ সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে সত্য কে তুলে ধরা।  সমসময়ের অন্ধকারকে যখন তাদেরই সহকবি তুলে ধরছেন , তখনি লেখক কিংবা সম্পাদকমণ্ডলী তাঁকে কোনঠাসা করছে।  গুজরাটে দেড় শত বুদ্ধি জীবী এই একাডেমির এই আচরণের প্রতিবাদ করেছেন।  মনে করিয়ে দিয়েছেন - লেখকের লেখার স্বাধীনতাকে খর্ব করা যাবে না।  

ব্রেখট বলেছিলেন - শিল্প  আয়না নয় , হাতুড়ি।  "গ্যালিলিও " নাটকে  বলা হয়েছে  শিল্পীর চ্যালেঞ্জের কথা।  প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়লে ও সত্য লেখার সাহস , সত্য গোপনের আবহে তাঁকে খুঁজবার চেষ্টা।  সত্যকে অস্ত্র করে তোলবার কথা।  

ইতিহাস বলছে -- হিটলার জার্মানি , মুসোলিনি ইতালি ও ফ্রাঙ্কোর স্পেন -- যখনি যেখানে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়া হয়েছে -- শৈল্পিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করা হয়েছে।  শেষ অবধি যদিও সেই মতলব খাটেনি।  আজকে ভারতেও সেই ক্ষমতা দেখানোর প্রয়োজন আছে। 



Comments

Popular Posts