রাষ্ট্রদোহ - এই বিষয়টির মধ্যে একটা রোমান্টিসিজম আছে। এই শব্দটি শুনলেই কেমন যেন " অনাচার করো যদি /রাজা তবে ছাড়ো গদি " কিংবা চারুলতা আমলের " সিডিশন ... সিডিশন " কথাটা মনে হয়।
যদিও রাষ্ট্রদোহী তকমা পেতে বেশি কিছু করতে হয়না। ওই দু চার বার " দড়ি ধরে মারো টান / রাজা হবে খানখান " - এই গোছের কিছু একটা করলেই হয়।
তীব্র জাতীয়তা বোধের কাছে গণতান্ত্রিক বোধ কিভাবে গণতন্ত্রকে নতিস্বীকার করতে হয় - তার নিদর্শন এখন দেশ বা বিশ্ব জুড়ে দেখা যাচ্ছে। covid মোকাবিলা প্রসঙ্গে সাংবাদিক বিনোদ দুয়া প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা করেছিলেন - ব্যাস আর যায় কোথায়।
স্বাধীন ভারত এ এই রাষ্ট্রদোহের ফাঁদে পড়েছেন বিনোদ দুয়া , রাজদীপ সারদেশাই , মৃনাল পান্ডে ও অনন্ত নাগ এবং অনেকে। পরাধীন ভারতে এই তকমা পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী , তিলক এর মতো ব্যক্তিত্বরা। সিডিশন সম্পর্কে মহাত্মা বলেছিলেন " prince of the Indian penal code "
High Democracy die গ্রন্থে steven levitsky ও Daniel zibalett বলেছেন - কি ভাবে নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কথা বলেন। মূলত চারভাবে তারা এই কাজটি করে থাকেন - প্রথমত , কথার মাধ্যমে গণতন্রকে আক্রমণ করা। দ্বিতীয়ত , বিরোধিতা কে বৈধতা না দেওয়া। তৃতীয়ত , মানবাধিকারকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা। চতুথত , হিংসায় ইন্ধন দেওয়া।
বর্তমান ভারতে চারটি প্রবণতাই স্পষ্ট।
Comments
Post a Comment