| জানার কোনো শেষ নেই -- শ্রাবণী ভৌমিক | | আত্মজ - July |

 জানানো টা শুরু হবে একটি প্রাচীন মন্দির কে ঘিরে, মন্দিরটি শ্যামনগর রাহুতা অঞ্চলের অন্তর্গত, মন্দিরটি আগে তৈরি অবস্থায় ছিল না, ছোট বয়স থেকেই দেখে এসেছি প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বটগাছে  ঘেরা ছিল জায়গাটি, আশেপাশের লোকেরা স্থানটিকে খুব জাগ্রত বলে মনে করতেন, জায়গাটি সত্যিই জাগ্রত এবং তা প্রমাণিত বটে। আমার মনে আছে আমি যখন খুব ছোট তখন একবার বন্যা দেখা দিয়েছিল। বন্যায় প্রায় রাস্তাঘাট বাড়িঘর প্রায় আধ ডোবা অবস্থায় ছিল। কিন্তু বট গাছের আশেপাশে কোন রূপ জল জমে নি, তাছাড়া আশ্চর্য রকম ভাবে একবার প্রচণ্ড ঝড়ে সমস্ত গাছপালা পড়ে গিয়েছিল কিন্তু সেই বটগাছ নিজে সেই জায়গাটুকু আঁকড়ে রেখেছিল, এই জায়গাটি তৎকালীন বনেদি পরিবারের দখলে ছিল শোনা যায় তাদের বংশের কোন এক সদস্য এই জায়গাটি নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, এটিও শোনা যায় এই স্বপ্নাদেশে বলা হয়েছে প্রতি ভাদ্র মাসে কালী পূজা করা জন্য, এবং শরৎকালে যে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় সেই দুর্গাপূজা করার কথা, এবং স্বপ্নাদেশে নিয়ম অনুযায়ী যে পুরোহিত পূজা আরম্ভ করবে বংশপরম্পরায় সেই পুরোহিতের ই বংশ এই পূজার সাথে লিপ্ত থাকবে। এমনকি মা পালকি করে আসবে এবং পালকি করে তার বিসর্জন পালা গঙ্গার দিকে যাত্রা করবে, এছাড়াও পশু বলি দিতে হবে, তথাকথিত নিয়ম অনুযায়ী ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি এখানে ভাদ্র মাসে কালীপূজা খুব ধুমধাম করে হয়।সঙ্গে পূর্বে পাঠা বলি অবশ্য হত কিন্তু পশু হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য এখন বর্তমানে কোন সবজি জাতীয় কিছু বলি হিসেবে দেওয়া হয়, দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে যে রীতি প্রচলন ছিল সে সম্বন্ধে পুরোহিতের বংশধর কিংবা বনেদি পরিবারের সদস্যরা ওয়াকিবহাল আছে। কালচক্র বটগাছটি কেটে ফেলে সেখানে বেদি রূপে একটি ছোট্ট মন্দির নির্মাণ করা হয়, আশেপাশের লোকজন খুব ভক্তি ভরে পূজার্চনা করে এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে, এমনকি এখানে কোন মানসিক করলেও সেই মনস্কামনা পূর্ণ হয়।




Comments

Popular Posts