|সারারাত কেটে যায় এইসব ভেবে।। পর্ব 6।
কমফর্ট ফুড পেটে খেলে তবেই যে পিঠে কমফর্টেবলি সয় ........।
“খাবার জন্যই তো বেঁচে আছি রে পাগলা...” সামনে একপ্লেট মাটন বিরিয়ানী পেলে সবার এটাই মনে হয়। বিরিয়ানী তে একটা খাসা খাসির পিস আর আলুর বড়সড় টুকরো পেলেই তাঁর জীবন সার্থক। হায়রে... জীবনের সব চাহিদাগুলি যদি এরকমই সহজ সরল হত...
এমনিতে আমি চাপ নিতে নয় , দিতে বিশ্বাসী।
কিন্তু বিরিয়ানির সাথে (চিকেন)চাপটা না নিলে নাকি ঠিক ব্যাপারটা জমেনা। তাই কমফর্ট ফুড মানেই বিরিয়ানি উইথ চাপ ফর মি ।
“অমন মোঘলাই জিনিস খেয়ে পেটে যখন মোচর দেবে তখন কে বাঁচাবে?” এই মন্তব্য কিন্তু একেবারেই ফেলে দেওয়া যায় না। কিন্তু মোরা বাঙালি, জোয়ানের আড়ক ও জেলুসিলের আনঅফিসিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
কমফর্ট ফুড বিষয়টা সব ঋতুতে আবার আলাদা হয়। যেমন ধরা যাক ,রোব্বারে ভাতের পাতে কচি পাঁঠার ঝোল , শীতকালে গুড়ঢালা গরম রসগোল্লা, বৃষ্টির দিনে পেঁয়াজি হাতে বেগুনীর সাথে পরকীয়া, গরমের দুপুরে শুক্তোনি , ডিমটোস্ট, সাথে ঘুঘনি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো ?
অনেক সময়ে আবার ডাল-ভাত-আলুভাজা/আলুপোস্ত কিংবা নুন-লঙ্কা দিয়ে কাঁচা আম মাখা। লিস্টির কিন্তু শেষ নেই। আবার রেস্তোরার চিকেন পিৎজা কিংবা বার্গারটাও থাকে কমফর্ট ফুডের তালিকায়। তা সে যতই ক্যালরী হোক।
সে যাই হোক না কেন, কমফর্ট ফুডের সাথে মনে হয় রাঁধুনীরও একটা প্রগাঢ় সম্পর্ক আছে। পাঁঠার ঝোলটা ঠিক মায়ের হাতেরই চাই। শুক্তোতে দিদার রেসিপি-ই বেস্ট। ডিমটোস্ট মানে শুধুই কলেজের বাইরে মেট্রো স্টেশনের কাছের দোকান।
আবার টানা তিন-চার দিন নানা অনুষ্ঠানবাড়ি ঘুরে প্রাণ ভরে পোলাও, মাংস, দই, মিষ্টি সাঁটিয়ে যখন মন-মেজাজ অতিপৃক্ত, তখন বোঝা যায় সাধারন ডাল ভাতের কী মহিমা। মাঝে মাঝে কাঁচকলার ঝোল ও সেভিয়ার হয়ে এগিয়ে আসে।
কমফোর্ট ফুডের লিস্টি আমার শেষ হবে না। আপনাদের কাছে কমফোর্ট ফুডের সংজ্ঞা কি জানান।
photo courtesy : Google
Comments
Post a Comment