| সারারাত কেটে যায় এইসব ভেবে।। পর্ব ৪।

 মাসের মধ্যে ওই এক -একটা দিন ...........


এক একটা দিন কাঁচদুটো মুছি বারবার, তবুও চশমা পরিষ্কার হয়না।  ওই  দিনগুলো তে আমার ভীষণ হিংসে হয়।সবুজ, হিসহিসে, অ্যাসিডিক হিংসে।  ফ্যালফ্যাল করে দরজার দিকে  তাকিয়ে থাকি, কেউ ঘরে ফেরেনা। মনে মনে ভাবি , আমার  বালিসুখ পড়ে যাচ্ছে না তো  ভাগ্যবানের আঁচলে ? 

 রাত ছিঁড়ে ফেলি ফালা ফালা করে। কেন কেন কেন, আমি কেন? আমি কি হিংসুটে হয়ে যাচ্ছি ? ওটা হওয়াটা তো খারাপ জিনিস।  

‘দূর মুখপুড়ি, ঘুমিয়ে পড়’, ঘড়ির কাঁটা  উত্তর দেয় তখন । 

আবার কোনো কোনো  দিন কুয়াশামুখোশে কান মাথা ঢেকে বেরোই বাড়ী থেকে। যে আমি হয়তো আগের দিন রাতে দরজার দিকে অপেক্ষা করে বসে ছিলাম " কারোর " জন্য , সেই আমিই চেনামুখ দেখে লুকোই, মূক-বধির-অন্ধ সেজে  কাটিয়ে দিই।  

এক একটা দিন দুয়ারে আগল আঁটি, পেরেক ঠুকি, বন্ধ করে দি দরজা। খাঁচায় এদিক-ওদিক, ওদিক-এদিক পায়চারী করি  ক্রুদ্ধ জোড়া পায়ে।  ভাবি, আর না, এই শেষবার।  তবুও আমার অমতে , আগল ঠেলে হইহই করে বসন্ত ঢুকে পড়ে, আরও একবার, পালানো  হয়না। সেই দিনগুলোতে আমার ভীষণ ভালবাসা পায়। বুক নিংড়ে দিতে ইচ্ছে করে।  মনে হয় বসন্তের  গাল, মুখ, কপাল চুমুতে ভরিয়ে দিই।   চটচট করে সারা শরীর, আবেশে ঝিম ধরে যায়।  তারপর ? তারপর ,মুহূর্তেরা পালায় একে অন্যকে তাড়া করে, অভিশপ্ত সময় আবার ফিরে আসে ।  

সেই অভিসপ্ত   দিনগুলোতে  দাঁড়িপাল্লায় মানুষ মাপি। এপাল্লা, ওপাল্লা। ওজন করে মরি দিনমান ,   কী নেই, কী ছিলোনা। থিয়োরি লিখি, পাতার পর পাতা ভরে হিজিবিজি প্রলাপেরা ঘর বাড়ী বানায়।  

 অপদার্থ অন্ধকার দিন বয়ে যায়, হিসেবগুলো মেলেনা। 

অন্ধকার থেকে বাঁচতে জোরে  আরও জোরে হাঁটি।   রাস্তা ফুরোয় না। 


এক একটা দিন মেঘ ছেয়ে যায় দিগন্ত জুড়ে। অ্যালার্ম বাজে নিজের মতন,চোখের কপাট খোলে নিয়ম মতো।  তবু মেঘ-লাগা কোষে, ইন্দ্রিয়ে, সকাল হয়না।  


( ** থিওরি লেখা ছাড়া বাকি সব মিথ্যে। ) 

Comments

Popular Posts