। সারারাত কেটে যায় এইসব ভেবে।। পর্ব ৮।
নানেই আসল ফান ...............................
গত সোমবার কাজ শেষ করে উপর থেকে নিচে রান্নাঘরে গিয়ে দেখি চাপা উত্তেজনা, ফিসফাস, কীসব রান্না চলছে ! আমাকে দেখে মা বললো আজ ভাই রান্না করবে । বাবা ! যে কাজটা মা আমাকে দিয়ে এতদিন ও করাতে পারলো না , ভাইকে দিয়ে সেটা হয়ে গেলো।
উঁকি দিয়ে দেখি মুঘলাই চিকেন বানানো হয়েছে আর মেঝেতে কাউন্টারে যত্রতত্র ময়দার গুঁডো় । দইয়ের কৌটোর ঢাকনা গড়াগড়ি টেবিলে। । যাই হোক, সে মহা কর্মযজ্ঞ। সোজা ব্যাপার না।
ময়দার লেচিকে কাউন্টারে তেল মেরে তার ওপর ফেলে এক দুই টানে লম্বাটে করে বেলতে হচ্ছে তারপর রসুন কুচি, জোয়ান, ধনেপাতা এসব ওপরে চেপে চেপে দিতে হচ্ছে। এরপরেই আসল চমক।
চাটুকে হাল্কা গরম করে সেই বেলা ময়দার উলটো দিকে জাদুর গালে হাত বোলানোর মত করে একটু জল বুলিয়ে নিতে হচ্ছে। এরপর সেই জলের দিকটা থ্যাপ করে ঘুঁটে দেওয়ার মত করে চাটুতে ফেলে একটু সেঁকেই আঁচ বাড়িয়ে নান শুদ্ধু চাটুকে জ্বলন্ত নগদ আগুনের ওপর উলটো করে ধরতে হচ্ছে।
এইসময়ে বেশীরভাগ ধনেপাতা ও জোয়ান মাধ্যাকর্ষণের শক্তির কাছে হার মেনে কুকটপে টপাটপ করে পড়ে যাচ্ছে আর রান্নাঘর ভরে উঠছে গারলিক নানের লোভনীয় গন্ধে। নান সেঁকা হয়ে যেতেই তাঁদের গায়ে মাখানো হচ্ছে পাঁচশো গ্রাম করে মাখন।
রান্নাঘরের দিকে চেয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করতে গিয়ে মনে হল এইমাত্র এখানে একটা বিশ্বযুদ্ধু হয়েছে , যেটা মা ছাড়া কেউই সামলাতে পারবে না ।
কালকেই যে ঘনঘোর পরিশ্রম করতে হবে। সে যাক গে, গরম গরম গারলিক বাটার নান যা হয়েছিলো না, যেকোনো দোকানকে বলে বলে দশ গোল দেবে।
লাইফ পুরো ঝিঙ্গালালা 😀
Comments
Post a Comment