। সারারাত কেটে যায় এই সব ভেবে।। পর্ব ৭।
রংবাজ রোববার ........।
আমি অনেক ভেবে এই নামটাই রোববার কে দেব ঠিক করলাম। কেন ? বলছি বলছি।
জন্মদিন, অ্যানিভার্সারী, সরস্বতী পুজো, পয়লা বৈশাখ ইত্যাদি বছরে একবারই আসে। তাই এইদিনগুলি গুরুত্ব পাবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রবিবার, সে তো প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে এসে টুকি দিয়ে যায়। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৫২-টাই রবিবার। আর লিপ-ইয়ার হলে তো আরো একটা গোটা রবিবার ফাউ। তবে এই টিপিকাল রোব্বার-প্রীতির কারণ কী?
কলেজ হোক বা আপিস, সেখানে ঘুমের এন্ট্রি নট। বিশেষ করে তাই রবিবারটাই অফিসিয়াল ঘুম দিবস।
সকালে গরম লুচি, সাদা আলুর তরকারি আর দুপুরে পাঁঠার ঝোলই হলো রবিবারের আসল মজা। ভাতঘুম। সাধু সাধু!
দুপুর তো গড়িয়েই গেলো । বাকি রইল বিকেল। রবিবারের বিকেলের চেয়ে নির্মম নির্দয়ী আর কী হতে পারে? তিলে তিলে মনে করাবে শিয়রে সোমবার। ঠিক যেন সাইক্লোনের পুর্বাভাস। এই এল বলে... জাস্ট মেন্টাল টর্চার।
আর রবিবারের রাত? শেষমেষ ঘুমও সঙ্গ ছেড়ে পালায়। তারপর ঘড়িতে বাজে ১২টা। রবিবার তোমাকে ষড়যন্ত্র করে সোমবারের হাতে ফাঁসিয়ে দিয়ে চুপচাপ ৬ দিনের জন্য সরে পরে। ঘোর চক্রান্ত!
এতকিছুর পরও আমরা সেই রবিবারের অপেক্ষাতেই বসে থাকি! ঠিক যেমন এক্স বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের ফেসবুক আর ইন্স্টাগ্রাম প্রোফাইলে ঢুঁ না মেরে থাকা যায়না, রবিবারকে উপেক্ষা করেও বাঁচা যায় না। তা সে যতই নির্মম হোক।
Comments
Post a Comment